মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম (দাম সহ)

আজকে আমরা এডুয়েটিকের নারী স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম (দাম সহ) নিয়ে। তাহলে চলুন আর দেরি না আজকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। সকল নারীদের নির্ধারিত সময়ের থেকে অর্থাৎ ২৮ দিনের মধ্যে যদি পিরিয়ডস না হয় তাহলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

১২ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত ও সময়মতো মাসিক হওয়াটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, তার মানে হয়তো শারীরিক কোনো সমস্যা আছে। কিন্তু জানেন কি পিরিয়ডস বা মাসিকের সঙ্গে অনেকগুলি ব্যাপার জড়িত।

মানসিক চাপ থেকে আবহাওয়া এই সবই প্রভাব ফেলতে পারে আপনার সাইকেলে। তবে বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শীতকালে পিরিয়ডসের নানা সমস্যা বাড়ে।

চিকিৎসা পরিভাষায় এই ওষুধকে Period Delaying Tablets বলে। বিশেষত বিয়ের আগে সব মেয়ের মধ্যেই দেখা যায় এই প্রবণতা।

সামান্য পিরিয়ডসের জন্য নিজের ঘুরতে যাওয়া, আনন্দের সঙ্গে কেউই আপোষ করতে চান না। প্রয়োজনে এই ওষুধ অবশ্যই খেতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শে।

আগ বাড়িয়ে নিজে থেকে এই ওষুধ দোকানে কিনতে যাবেন না। একান্ত প্রয়োজন থাকলে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন, তিনি যা উপদেশ দেবেন সেইমতো ওষুধ কিনবেন। অন্যতয় উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশী হতে পারে।



Period Delaying Tablets আসলে কি?

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে ঋতুস্রাব পেছাতেই ব্যবহার করা হয় এই ট্যাবলেট। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে বা বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান থাকলেই এই ওষুধ খাওয়ার কথা ভাবেন অনেকেই।

এই ওষুধ খেলে মোটামুটি ১৭ দিন পর্যন্ত আপনি পিরিয়ডস নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। তবে এই ওষুধের প্রভাব কতদিন থাকবে, কতটা মাত্রার খাবেন তা একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারবেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ওষুধগুলো কীভাবে কাজ করে

পিরিয়ডসের উপর ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন এই দুইয়ের প্রভাব থাকে। এই ডিলেয়িং ট্যাবলেটের মধ্যে Norethisterone নামের একটি যৌগ উপস্থিত থাকে যা কৃত্রিম ভাবে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে পিরিয়ডস পিছিয়ে যায়।

পিরিয়ড ডিলেয়িং ট্যাবলেটের ধরন?

মূলত এই ট্যাবলেট দু-রকমের হয়। এই ওষুধগুলির তিনটি ভাগ থাকে এবং খাওয়ার নিয়মও আলাদা।

মিনি পিল

মিনি পিল-এই ওষুধে একটা পাতায় সাতটা ট্যাবলেট থাকে। আর এই ওষুধ ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। একটা পাতা শেষ হলে কোনও গ্যাপ না দিয়েই অন্য পাতা শুরু করা যেতে পারে।

ফেজিক পিল বা ফেমিকন পিল এর দাম

ফেজিক পিল-একটা প্যাকেটে ২১ টা করে ট্যাবলেট থাকে। প্রতি সাতটার রঙের তারতম্য থাকে। একটা একটা রং ভিন্ন হরমোনের জন্য।

একটা ওষুধ আজ খেলে ঠিক সাতদিন পর একই সময় মেনে বাকি ওষুধ খেতে হবে। মোটামুটি এই রকম একটা নিয়ম থাকে। তবে কীভাবে খাবেন তা চিকিৎসকই বলে দেবেন আপনাকে।

মূল্য তালিকা

ফেমিকন পিল সহ বেশ পিলের দাম উল্লেখ করা হলো। খোলা বাজারে মারভেলন-১শ ১০ টাকা, ফেমিকন পিল– ২৭ টাকা, মিনি পিল ১৬ টাকা, অবস্টেট- ৬৫ টাকা, হাসি- ২৫ টাকা, নরেস্ট- ২৩ টাকা, ইউএনমি- ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে বহু কম্পানীর বিভিন্ন পিল পাওয়া যায়।

বি:দ্র: বাজার দর অনুযায়ী পিলের দাম কম বেশী হতে পারে।

গর্ভনিরোধক বড়ির সঙ্গে ফারাক এক নয়?

পিরিয়ড পিছিয়ে দেওয়ার ওষুধ আর গর্ভনিরোধক বড়ি এক নয়। এই পিছিয়ে দেওয়ার ওষুধ কিন্তু শুধুমাত্র ১৭ দিনের জন্য পিরিয়ড পিছিয়ে দেয়।

আর গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটে ডিম্বাশয় থেকে ডিম নির্গত হতেও দেয় না। আর তাই যদি মনে করেন যে কন্ডম ছাড়াই যৌন মিলন বা সহবাস করে পিরিয়ড ডিলেয়িং ট্যাবলেট খাবেন, এরকম ধারণা রাখবেন না। এই ট্যাবলেট কিন্তু গর্ভবতী হওয়া থেকে আটকায় না।



কখন খাবেন

চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে তবেই এই ওষুধ কিনুন। যাঁরা প্রতিদিন হরমোন, থাইরয়েডের ওষুধ খান তাঁদের ক্ষেত্রে এই পিল কতটা কাজ করবে তাও চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।

সাধারণত পিরিয়ডসের নির্ধারিত দিনের তিনদিন আগে ৩ বার ট্যাবলেট খেতে হয়। একটা সকালে একটা দুপুরে একটা রাতে খাওয়ার পর। তবে একসঙ্গে দুটো কখনই নয়। কোনও ট্যাবলেট সকালে ভুলে গিয়েছেন বলে পরে বা বিকেলে খাবেন এমন নয়। নিয়মগুলো সর্তর্কতার সাথে মানতে হবে।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং বেল আইকনে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

গর্ভের সন্তান মারা যায় যেসব কারণে

গর্ভের সন্তান মারা যায় যেসব কারণে

আজকে আমরা এডুয়েটিকের নারী স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো গর্ভের সন্তান মারা যায় যেসব কারণে তা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *