অনিয়মিত পিরিয়ডের ঘরোয়া সমাধান

আজকে আমরা এডুয়েটিকের নারী স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো অনিয়মিত পিরিয়ডের ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না আজকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের পিরিয়ডের তারিখ পেরিয়ে গেলেও, সময়মতো পিরিয়ড হয় না। সাধারনত অনেক বেশি স্ট্রেস, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তন এসব কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে।

অনেক সময় ঘরোয়া কিছু উপায়ে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু তাতেও যদি কাজ না হয়। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।



তাহলে চলুন আলোচান করা যাক অনিয়মিত পিরিয়ডের ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে:

১. আদা

আদা অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আধা চাচামচ আদা কুচি এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন ৬-৭ মিনিট। তারপর এতে সামান্য চিনি বা মধু মেশান। এরপরে মিশ্রনটি ছেঁকে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে ৩ বার করে ১ মাস খেতে হবে।

২. হলুদ

হালকা গরম দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো ১/৪ চাচামচ মেশান। হালকা গরম থাকতেই খেয়ে নিন। প্রতিদিন খেলে অবশ্যই পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।

৩. ধনে

২ কাপ পানিতে ১ চাচামচ আস্ত ধনে দিয়ে অল্প আচেঁ পানিটা ফুটিয়ে নিতে থাকুন, যতক্ষণ না যেটা অর্ধেক হচ্ছে। পিরিয়ডের তারিখ আসার আগের সপ্তাহে থেকে দিনে ৩ বার এই পানি পান করুন।

৪. তুলসি পাতা

১ চামচ তুলসি পাতার রস আর ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এর সাথে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে ২ বার খেতে পারেন।

৫. তিল ও গুড়

১ মুঠো তিল টেলে নিয়ে ১ চামচ গুড়ের সাথে মিশিয়ে বাটতে হবে। এই মিশ্রণ প্রতিদিন খালি পেটে খেতে হবে।

৬. দারুচিনি

দারুচিনি অনিয়মিত পিরিয়ডের পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটের ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। আধা চাচামচ দারুচিনি গুঁড়ো দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা নিয়মিত চায়ের সাথে দারুচিনি দিয়ে খেতে পারেন।

৭. গাঁজর

গাঁজর আয়রনের একটি ভালো উৎস। যা শরীরের হরমোন ফাংশনকে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। অনিয়মিত পিরিয়ডের ক্ষেত্রে ১ গ্লাস গাঁজরের রস প্রতিদিন খেতে হবে ৩ মাস পর্যন্ত।

৮. মৌরি

২ টেবিল চামচ মৌরি ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত। পরেরদিন সকালে পানি ছেঁকে নিয়ে খেতে হবে। কার্যকর ফলাফল পেতে ১ মাস নিয়মিত খেতে হবে মৌরি ভেজানো পানি।

৯. কুঁচি ধনে পাতা

ধনে পাতার রস পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে খুব উপকারী। ধনে পাতার রস খেতে না পারলে, ধনে পাতা বাটা খেতে পারেন ভাতের সাথে।

১০. করলার রস

পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানের করলার রস বেশ কার্যকারী। দিনে ১ বার বা সম্ভব হলে ২ বার করলার রস খান টানা কয়েক সপ্তাহ। এছাড়াও করলার রস ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী।

১১. ভিটামিন সি

অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খুব জরুরি। পিরিয়ডের আগের সপ্তাহ থেকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখুন ডায়েটে।

১২. পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতার রসের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ৩ বার খেতে হবে একটানা কয়েক সপ্তাহ। এগুলোর পাশাপাশি যেসব বিষয়ে রাখা উচিত যেমন: শরীরের ওজন ঠিক রাখা, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা।

বি: দ্র: অনিয়মিত পিরিয়ডের প্রধান কারণ হলো উত্তেজিত অনুভব করা।

উত্তেজিত হয়ে ওঠা: অনেক মেয়ে আছে যারা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে পরে বা পিরিয়ড শুরুর ১-২ দিন আগে বা পিরিয়ড শেষের ১-২ দিন অনেক উত্তেজিত অনুভব করে বা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কিন্তু বেশির ভাগ মেয়ে এটাকে পাত্তা দেয় না বা এটাকে এড়িয়ে চলার জন্য অন্যদিকে মনোযোগ দেয়।



যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন।

বি: দ্র: তোমার নিজের রচিত কবিতা, সাহিত্য বা যেকোনো শিক্ষামূলক লেখা পাঠিয়ে দাও এডুয়েটিক’র কাছে। এডুয়েটিক প্রকাশ করবে তোমার প্রিয় লেখাটি।

এগুলো দেখুন

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন?

আজকে আমরা এডুয়েটিকের নারী স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন ? তা নিয়ে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *