পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম

পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম এই কথা আমরা কম/ বেশি সবাই শুনেছি। কিন্তু কিভাবে পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম করতে হবে এটা আমরা অনেকেই জানি না। আবার লজ্জার কারণেও যারা জানে তাদের কাছে জিজ্ঞাস করতে পারি না। তাহলে চলুন আর দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম করতে হয় সে সম্পর্কে। সাধারণত পুরুষাঙ্গের ৩ টি ব্যায়াম রয়েছে। এই ব্যায়ামগুলো সঠিকভাবে করতে পারলেই আমাদের পুরুষাঙ্গ ভালো থাকবে।



১. শেকিংঃ

প্রথমে আপনার পেনিস টাকে গোড়ার দিকে দুই আঙ্গুলে ধরুন (শিথিল অবস্থায়)। এরপর সেটাকে আস্তে আস্তে ঝাঁকাতে শুরু করুন আস্তে আস্তে ঝাঁকানোর…একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের লিঙ্গ এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত হওয়া উচিত? গতি বাড়ান এভাবে একটানা ২০০ থেকে ২৫০ বার ঝাঁকান মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে। ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন।

তারপর পুনরায় করুন এভাবে দিনে ২ বার করুন এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনের ইচ্ছা জাগতে পারে। ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিবেন না। এটা করার সময় যদি হস্তমৈথুন করেন তাহলে ব্যায়াম করা আর না করা একই কথা। যদি ২০০ থেকে ২৫০ বারের পূর্বেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন। উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন এটা করলে আপনার পুরুষাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন আশাতীত ভাবে বাড়বে। একটু কষ্ট করে হলেও এক্সারসাইজ চালু রাখুন বাদ দেবেন না।

২. জেল্কিংঃ

প্রথমে পেনিস কে জলে ধুয়ে নিন এবং মুছে ফেলুন। এরপর খানিকটা ক্রিম বা জেল জাতীয় পিচ্ছিল জিনিস (তেল জাতীয় জিনিস হলেও হবে) যোগাড় করুন। এটি পেনিসে ভালোভাবে মাখান (শিথিল অবস্থায়) এবার বুড়ো আঙ্গুল এবং তর্জনীর সাহায্যে “OK” সাইন এর মত করুন। এবার এই “OK” সাইন দিয়ে পেনিস এর গোড়া ধরুন (একটু জোরে চেপে ধরতে হবে)। এবার আস্তে আস্তে ভেতর থেকে বাইরের দিকে মর্দন করুন। জিনিসটা অনেকটাই হস্তমৈথুনের মতই।

কিন্তু খেয়াল রাখবেন এটা শুধু পেনিস এর গোঁড়া থেকে অগ্রভাগের দিকে।উল্টা দিকে করবেন না। এভাবে ৩০ থেকে ৪০ বার করুন। দিনে ২ বার। এটি করার সময় আপনি নিজেই টের পাবেন যে আপনার লিঙ্গমুণ্ডে রক্তের চাপ বাড়ছে। মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন। এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনের ইচ্ছা জাগতে পারে। ইচ্ছাটাকে কোনো মতেই পাত্তা যাওয়া যাবে না। যদি ৩০ থেকে ৪০ বারের পূর্বেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন। উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন এটি করার সময় লিঙ্গমুণ্ডে সামান্য সাময়িক ব্যাথা বোধ হতে পারে। এছাড়া আপনি দেখবেন লিঙ্গমুণ্ডকে লাল হয়ে ফুলে উঠতে। রক্তের চাপের কারনে এমন হয়।



৩. স্ট্রেচিংঃ

প্রথমে লিঙ্গমুণ্ড ৫ আঙ্গুলে সামনে থেকে চেপে ধরুন এবার এটাকে সামনের দিকে টেনে ধরুন এমনভাবে ধরে রাখুন যাতে পিছলে না যায় এভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন ২০ সেকেন্ড পর ছেড়ে দিন এভাবে একটানা ২০ বার করুন (অবশ্যই এই ব্যায়ামটি দিনে ২ বার করতে হবে) মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে৷ ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন তারপর আবার করুন৷

এর ফলে ধীরে ধীরে আপনার পুরুষাঙ্গ দীর্ঘতায় বাড়বে৷ আকজের আলোচনায় যে ৩ টি ব্যায়ামের কথা বলা হয়েছে সেগুলো একত্রে প্রতিদিন ২ বার করে করুন। একসঙ্গে না করলে লাভের সম্ভাবনা কম। এক্সারসাইজের সময় হস্তমৈথুন করবেন না। হস্তমৈথুন করলে ব্যায়াম করার কোনো দরকারই নাই। কারন তাতে কোনো লাভ হবে না। বরং এতে আরো আপনার আরো ক্ষতি হবে।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায়

দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায়

আজকে আমরা এডুয়েটিকের পুরুষ বিভাগে আলোচনা করবো দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় নিয়ে। তাহলে চলুন আর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *