পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

আজকে আমরা এডুয়েটিক’র নারী স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না আজকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। মেয়েদের পিরিয়ডের সময় এলেই সবচেয়ে তারা বেশি ভয় থাকে পিরিয়ডের ব্যাথা নিয়ে। অনেকেই ভোগেন ডিসমেনোরিয়ায়।

তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে কোমর, ঊরু ও পা পর্যন্ত। এমনকি অনেকের স্তনেও ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। রক্তক্ষরণের চেয়ে এই ব্যাথা কাবু দেয় মহিলাদের। ১২ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় সেই ব্যথা। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ার কষ্টগুলো অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়।



পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

* দৈনিক কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম চাই।

* পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করুন। বিভিন্ন ধরনের শরবত, ফলের রস, আদা-লেবু-পুদিনা পাতাযুক্ত চা পান করুন।

* মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।

* পুষ্টিকর খাবার খান।

* অতিরিক্ত চিনি-লবণযুক্ত খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, তামাক ইত্যাদি দূরে থাকুন।

* সকালের রোদ লাগান শরীরে।

* এছাড়া পিরিয়ডের ব্যথার সময় তলপেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মালিশ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে অনেকখানি।

* পেটে ব্যথার সময় গরম জলের সেঁক দিতে পারেন। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে। গরম জলে স্নানও করতে পারেন।

যে যে খাবার আপনার ব্যাথা অনেকটা কম করবে আদা বেশ উপকারী পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম জলে সেদ্ধ করে মধু-চিনি সহযোগে দিনে ৩ থেকে ৪ বার পান করতে পারেন। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকর। পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।

অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। পিরিয়ডের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়। গরম দুধ খেলেও উপকার পাবেন।

শরীর চর্চায় কমবে ব্যাথা মেঝেতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ এমনভাবে ভাঁজ করুন, যাতে হাতসহ শরীরের ওপরের অংশ মেঝের সমান্তরালে থাকে। হাঁটু যাতে ভাঁজ না হয়। এ অবস্থায় ৫ সেকেন্ড থাকুন।



পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার হাত দুটো সামনে টান টান করে প্রসারিত করুন। এ অবস্থায় ৫ সেকেন্ড থাকুন। হাফ স্কোয়াটিং পজিশনে বসে হাত দুটো সামনে টান টান করে প্রসারিত করুন। এ অবস্থায় ৫ সেকেন্ড থাকুন। মেঝেতে ২ পা ফাঁক করে দাঁড়ান।

এবার ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের গোড়ালি ধরার চেষ্টা করুন। এই সময় বাঁ হাত উঁচু করে বাঁ দিকে তাকানোর চেষ্টা করুন। এ অবস্থায় পাঁচ সেকেন্ড থাকুন। একইভাবে অপর হাত দিয়েও ব্যায়াম করুন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন?

আজকে আমরা এডুয়েটিকের নারী স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন ? তা নিয়ে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *