কফের সমস্যা সমাধানের উপায়

আজকে আমরা এডুয়েটিকের স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো কফের সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না আজকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

কাশি কিংবা কফের সমস্যা যে কেবল শীতকালে দেখা দেয়, এমন নয়। বরং এটি হতে পারে বছরের যেকোনো সময়েই। বিশেষ করে গরম-ঠান্ডার জেরে দেখা দিতে পারে এ ধরনের সমস্যা। সংক্রমণের কারণে আমাদের শ্বাসযন্ত্র প্রভাবিত হয়। ফলে হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, কফের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ওষুধ খেলে অনেক সময় তা পার্শপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এর বদলে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাশি ও কফের সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং এর কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এগুলো সহজেই পাওয়া যায়, সস্তা এবং বাড়িতে থাকা উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ঘরোয়া প্রতিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশির কারণে ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে সাহায্য করে।



জেনে নিন কফের সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে:-

আদা চা

আদা প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি যা সর্দি-কাশি এবং কফের সমস্যা উপশম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর কিছু উপকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শ্লেষ্মা ভেঙ্গে গলা প্রশমিত করতে সাহায্য করে। আদা চা তৈরির জন্য এক টুকরো আদা খোসা ছাড়িয়ে পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।

ব্ল্যাক কফি

অস্বস্তি থেকে সাময়িক আরাম মেলে ব্ল্যাক কফি পান করলে। আর জমে থাকা সর্দি গলাতেও উপকারী। তবে দিনে দুই কাপের বেশি পান করা যাবে না, কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

মধু

কাশি ও কফ দূর করতে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে মধু এটি গলার খুশখুশেভাব প্রশমিত করতেও সাহায্য করে। মধুর রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কফের সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে মধু ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করুন। তবে মনে রাখবেন যে, এক বছরের কম বয়সী শিশুকে মধু খাওয়ানো যাবে না।

লেবু ও মধু

লেবু জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ বা শ্লেষ্মা দূর করে গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

হলুদ দুধ

হলুদ একটি প্রাকৃতিক প্রদাহ বিরোধী উপকরণ যা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা সর্দি এবং কাশি সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে হলুদ দুধ তৈরি করুন। স্বাদের জন্য মধু যোগ করুন। হলুদ দুধ গলা ব্যথা প্রশমিত করতে, কফ দূর করতে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।

রসুন

রসুন একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক যা সর্দি-কাশির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রসুনের কয়েকটি কোয়া মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। কফের সমস্যায় উপকার পাবেন। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারে রসুন যোগ করুন।

পেঁয়াজ

একই পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু ও পানি একসাথে মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এভাবে সামান্য উষ্ণ এই জল দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার পান করুন।

লবণ জল

বুকের সর্দি ও কফ দূর করতে সবচেয়ে সহজ আর সস্তা উপায় হল লবণ জল। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ জলের সাথে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার গারগেল করুন।

আপেল সাইডার ভিনেগার

এক কাপ সামান্য উষ্ণ জলে দুই চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে এই পানীয়টি দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার পান করুন। মোটামুটি ৮ থেকে ১০ দিন পান করুন। দ্রুত শ্লেষ্মার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

ভাপ নেওয়া

কফের সমস্যা কমাতে একটি কার্যকরী উপায় হলো ভাপ নেওয়া। এটি শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে তা বের করে দেওয়া সহজ করে। ভাপ নেওয়ার জন্য একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। এবার পাত্রের উপর ঝুঁকে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এভাবে ভাপ নিন। বাড়তি সুবিধার জন্য পানিতে ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের মতো এসেন্সিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন।



যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন।

বি: দ্র: তোমার নিজের রচিত কবিতা, সাহিত্য বা যেকোনো শিক্ষামূলক লেখা পাঠিয়ে দাও এডুয়েটিক’র কাছে। এডুয়েটিক প্রকাশ করবে তোমার প্রিয় লেখাটি।

এগুলো দেখুন

হাঁটু ব্যথা দূর করার উপায়

হাঁটু ব্যথা দূর করার উপায়

আজকে আমরা এডুয়েটিকের স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো হাঁটু ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *