ডিজিটাল লাইব্রেরীর সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা

আজকের আর্টিকেলে আমরা ডিজিটাল লাইব্রেরীর সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানব। যেখান থেকে আপনারা ডিজিটাল লাইব্রেরী কাকে বলে, ডিজিটাল লাইব্রেরীর সুবিধা এবং ডিজিটাল লাইব্রেরী প্রয়োজন সম্পর্কে জানতে পারবেন।



বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল যুগ। এই জন্য বর্তমান সময়ে সবকিছুই আস্তে আস্তে ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরীরও সূচনাও শুরু হয়ে গেছে।

তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই ডিজিটাল লাইব্রেরীর সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে-

ডিজিটাল লাইব্রেরী কি?

ডিজিটাল লাইব্রেরী হলো এক ধরনের পুস্তকালয়, যেখানে ডাটা ডিজিটাল রূপে স্টোর করা হয়। এবং এই সমস্ত ডাটাগুলি, বিভিন্ন কম্পিউটারের সাহায্যে অ্যাক্সেস করা যায়।

ডিজিটাল locker, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং ডিজিটাল সিগনেচার – এর মত অ্যাপ্লিকেশন গুলো ডিজিটাল লাইব্রেরীর উদাহরণ।

সোজা ভাষায় বলতে গেলে, বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে অনেক ধরনের বই এবং কনটেন্ট পাওয়া যায়। যেগুলো pdf ফরম্যাট এবং soft copy তে স্টোর করা থাকে। এই সমস্ত জিনিস গুলো যে স্থানে স্টোর করা থাকে সেটি হলো ডিজিটাল লাইব্রেরী।

ডিজিটাল লাইব্রেরী কাকে বলে?

ডিজিটাল লাইব্রেরি হলো বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সম্পত্তির ভান্ডার। যেখানে হার্ডকপির পরিবর্তে সফট কপি এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ফাইল (টেক্সট, অডিও, ভিডিও) স্টোর করে রাখা হয়। এই ধরনের লাইব্রেরী রোজ আপডেট করা হয় এবং বিভিন্ন ইউজারের দ্বারা অ্যাক্সেস করা হয়।

ডিজিটাল লাইব্রেরীর অপর নাম

ডিজিটাল লাইব্রেরীকে আরও কিছু নামে চেনা যায়। যেগুলোকে কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো –

  • ইলেকট্রনিক্স লাইব্রেরী
  • ভার্চুয়াল লাইব্রেরী
  • হাইব্রিড লাইব্রেরী।

ডিজিটাল লাইব্রেরির সুবিধা

  • ডিজিটাল লাইব্রেরী থেকে ফাইল অ্যাক্সেস করবার জন্য কোথাও যাওয়ার দরকার হয় না। বাড়িতে বসেই সবকিছু অ্যাক্সেস করা যায়।
  • যেকোনো সময় যেকোনো দিন অ্যাক্সেস করা যায়।
  • একই জিনিসকে অনেক ব্যক্তি একত্রে ব্যবহার করতে পারে।
  • এটি জিনিস পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ব্যক্তি আপলোড এবং অ্যাক্সেস করতে পারে।
  • নির্দিষ্ট ফাইলের লিংক এবং সফট কপি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা যায়।
  • এই ধরনের লাইব্রেরী তৈরি করবার জন্য জমি বা স্থানের প্রয়োজন হয় না।

ডিজিটাল লাইব্রেরী কেন প্রয়োজন?

বর্তমানে বেশিরভাগ স্থানে ডিজিটাল লাইব্রেরীর ব্যবহার করা হচ্ছে। আর বর্তমান সময়ে এটির প্রয়োজনও রয়েছে ব্যাপক।

কারণ –

ডিজিটাল লাইব্রেরির মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি খুব সহজে যেকোনো জিনিস অ্যাক্সেস করতে পারবে। এবং সরকারি ডকুমেন্টস খুব সহজে রাখতে পারবে।

এছাড়া পৃথিবীর যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে নিজস্ব কোনো ডিজিটাল ফাইল শেয়ার করার জন্য এই লাইব্রেরী বিশেষ কাজে লাগে।

এছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মানুষ লাইব্রেরী যেতে পছন্দ করে না, তাই তারা ডিজিটাল লাইব্রেরী ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের বইপত্র বাড়িতে বসে পড়তে পারে।

এই সমস্ত সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকটি দেশের সরকারকে, তাদের নাগরিকদের কথা ভেবে, ডিজিটাল লাইব্রেরী তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে।



শেষ কথা

আশা করি উপরের তথ্য থেকে ডিজিটাল লাইব্রেরী কি? এর সুবিধা এবং এটির প্রয়োজন সম্পর্কে আপনারা সবাই কম/ বেশি বুঝতে পেরেছেন।

যদি এখনো ডিজিটাল লাইব্রেরীর সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আপনাদের কারো কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (free download)

সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (free download)

সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (free download) : ​আপনি কি আপনার ভিডিওগুলো এডিট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *