শিশুর খাবারে অনিহা কেন?

শিশুর খাবারে অনিহা কেন

আজকে আমরা এডুয়েটিকের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো শিশুর খাবারে অনিহা কেন ? এমন প্রশ্ন আমাদের কাছে অনেক মায়েরাই করেন। তাই ওই সকল মায়েদের জন্য আামাদের আজকের এই আর্টিকেল। তাহলে চলুন আজকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।



আমার একটি বাস্তবিক অভিজ্ঞতা আপনাদের বলি, হয়তো আপনিও খেয়াল করে দেখেছেন বিষয়টা- অসহায় গরীব বাচ্চারা যা দেন তাই খায়। খাবো না এই কথাটি তারা কখনোই বলে না! কিন্তু যেসব শিশুর পিছনে বাবা-মা লেগে থাকে, বাবা এটা খাও, ওটা খাও। অথচ আপনার আদরের শিশুটি কিছু খেতে চায় না। এর কারণ কি ভেবে দেখেছেন কখনো? এর উত্তর একদম- সহজলভ্যতা। প্রতিটি মানুষের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো যেটা সে সহজে পায় সেটার মূল্য দেয় না।

আপনার শিশুকে সব সময় খাবারের কথা বলবেন না। প্রচলিত একটি কথা আছে না যে, খিদে লাগলে বাঘে ধান খায়। আপনার শিশুটির খিদে লাগার সময় দিন। প্রয়োজনে তাকে একটু খেলার সময় দিন, লাফালাফি, দৌড়াদৌড়ি করলে খিদের জ্বালায় আপনাকে সময় দিবে না। অনেকে শিশুদের দোকানের খাবার খুব পছন্দ। যেমন- চিপ্স, চকলেট ইত্যাদি। কিন্তু আপনি জানেন যে, আপনার আদরের শিশুটি খিদে নষ্ট করে দেই এইসব খাবার, ফলে শিশুর ক্ষুধামন্দা হয়ে যায়।

শিশুদের এক খাবার সব সময় দিবেন না। এই ধরনের ভুল বেশিভাগ মায়েরাই করেন। খাবারে একটু বৈচিত্র আনুন। একই খাবার ভিন্ন পদ্ধতিতে রান্না করুন। যে খাবার সে খেতে চায় না তা একটু ভিন্ন রেসিপিতে পরিবেশন করুন। শিশুরা মজাদার খাবার বেশি পছন্দ করে। এ জন্য খাবারে বিভিন্ন সময় ভিন্ন স্বাদ আনুন।

খাবারের প্রয়োজনীয়তা বা মূল্য না বুঝলে সেটার আনন্দ থাকে না। অসহায় গরীব শিশুদের শুধু ভাত দেন দেখবেন খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে। কিন্তু যত বাহানা আপনার বাচ্চা করে। এর কারণ আপনি নিজেই। আপনি তাকে বেশি মূল্য দিয়ে ফেলেছেন। আমার মা ছোটবেলায় আমাকে সব খাবার খাওয়া শিখিয়েছেন।

আমি যদি কোন খাবার খেতে পছন্দ না করি সেটা টানা তিন দিন চলত। অর্থাৎ আমি নিরামিষ খেতে চাইতাম না, তাই আমার মা অন্য তরকারি বাদে শুধু নিরামিষ রান্না করে রাখতেন। তখন আর কোন উপায় না পেয়ে খিদের জ্বালায় নিরামিষ দিয়ে ভাত খেতাম। এভাবে আমি সব খাবার খাওয়া ছোটবেলা থেকে শিখেছি। এখন ম্যাচে বা হোস্টেলে থাকলে আমার কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু আমার অনেক বন্ধু আছে যারা আমিষ না হলে খেতেই পারে না। ছোটবেলায় যদি তাদের বাবা-মা সব খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস করাতেন, তাদের বাহানা বা জেদের গুরুত্ব না দিতেন তাহলে তারা আজ কষ্ট করে না খেয়ে থাকতে হয় না।



তাই আমার ব্যক্তিগত সাজেশন হবে আপনি শিশুদের সব খাওয়ার অভ্যাস করান। খেতে না চাইলে চুপ থাকেন, খাবার নিয়ে তাকে বলতে যাবেন না খাও। তার জেদ বা বাহানার কথা শুনবেন না। দেখবেন সে নিজে থেকে খাবার খেতে শুরু করবে। ছোট থেকেই বাচ্চাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ করে দিন। মন খারাপ করে, বা জেদে আপনার বাচ্চা না খেয়ে থাকলে শুকায় যাবে, ক্ষতি হবে এমনটা ভাববেন না, কারণ বাচ্চারা বড়দের মত খিদে সহ্য করতে পারে না। তাই যখন খিদে লাগবে তখন দেখবেন ঠিকি খেতে বসেছে।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন।

Leave a Comment