এডুয়েটিকের ধর্মকথা বিভাগে আজ আমরা সম্পর্কে আলোচনা করবো সুবহানাল্লাহ কখন ও কেন বলবেন? তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ইসলামী পরিভাষাগুলোর একটি ‘সুবহানাল্লাহ’। এর অর্থ ‘আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান’। আল্লাহ তায়ালার গুণাবলী, তাঁর সৃষ্টির কোনো ভালো ও আশ্চর্যজনক বিষয় শুনে-দেখে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
যেমন সমুদ্রপারে নয়ানাভিরাম সুর্যোদয় বা সুর্যাস্ত দেখে বলা যেতে পারে যে, সুবহানাল্লাহ কত সুন্দর দৃশ্য। অথবা বড় ধরণের কোনো দুর্ঘটনা থেকে কেউ রক্ষা পেলে বলা যেতে পারে, সুবহানাল্লাহ! গাড়িটি দুর্ঘটনাক্রান্ত হলেও যাত্রীরা পুরোপুরি অক্ষত রয়েছেন।
- আরো পড়ুন: মাশাআল্লাহ কখন ও কেন বলবেন?
- আরো পড়ুন: আলহামদুলিল্লাহ কখন ও কেন বলবেন?
- আরো পড়ুন: ইনশাআল্লাহ কখন ও কেন বলবেন?
সুবহানাল্লাহ বলার অনেক ফজিলতও রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬)
سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন— ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলে, তাহলে কেউ তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কেয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবে না।’
অন্য বর্ণনায় আছে তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তির গুনাহ যদি সমুদ্রের ফেনার থেকেও বেশি হয়, তাহলেও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ – সহীহ মুসলিম ৪/২০৭১, ২৬৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১৪১, সুনানুত তিরমিজি ৫/৫১১,
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলে, তাহলে কেউ তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কেয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবে না।’
আরেক বর্ণনায় রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন জুআইরিয়্যার (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজের পরে তাঁকে তাঁর নামাজের স্থানে জিকিরত অবস্থায় দেখে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি অনেক বেলা হলে দুপুরের আগে ফিরে এসে দেখেন তিনি তখনও ওই অবস্থায় তাসবিহ তাহলীল আদায় করছিলেন।
- আরো পড়ুন: paragraph: Global Warming (বাংলা অর্থসহ)
- আরো পড়ুন: paragraph: Corona Virus Pandemic (বাংলা অর্থসহ)
- আরো পড়ুন: paragraph: Traffic Jam (বাংলা অর্থসহ)
তা দেখে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তুমি কি আমার যাওয়ার সময় থেকে এই পর্যন্ত এভাবেই জিকিরে রয়েছ?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে চারটি বাক্য তিন বার করে বলেছি, তাহলো-
سبحان الله وبحمده ، عدد خلقه ، ورضا نفسه ، وزنة عرشه ، ومداد كلماته
উচ্চারণ, সুব‘হা-নাল্লা-হি ওয়াবি‘হামদিহী, ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়ারিদ্বা-নাফসীহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমাতিহী।
তুমি সকাল থেকে এই পর্যন্ত যত কিছু বলেছ সবকিছু একত্রে যে সওয়াব হবে, এই বাক্যগুলির সওয়াব একই পরিমাণ হবে। – (সহীহ মুসলিম ৪/২০৯০ থেকে ২০৯১, ২৭২৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১১০, নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ১/৪০২, ৬/৪৮, ৪৯)
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন— ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪)
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং বেল আইকনে ক্লিক করুন।