জীবনী: জোসেফ প্রিস্টলি

জোসেফ প্রিস্টলি

জীবনী: জোসেফ প্রিস্টলি পৃথিব, পৃথিবীর বিশাল জলরাশি এবং ততোধিক বিশাল জীবজগৎ যে সৃষ্টি হয়েছে, তার মূলে আছে কতগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসীয় পদার্থ। প্রকৃতিতে, বিশেষ করে বায়ুমন্ডলে যে দুটো গ্যাসের প্রধান্য সবচেয়ে বেশি, সে দুটো হল নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন। এর মধ্যে অক্সিজেনই জীবজগতের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।

অক্সিজেন ছাড়া পৃথিবীর একটি প্রাণীও বাঁচতে পারে না। আমরা যে জল পান করি তাও দুটো গ্যাসের সমন্বয় গঠিত। দু ভাগ হাইড্রোজেন এবং এক ভাগ অক্সিজেন মিলে তৈরি হয় জল। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে যদি অক্সিজেনের অস্তিত্ব না থাকতো তাহলে জলের জন্মই হতো না। আর জল না থাকলে জীবজগতের সৃষ্টি হতো না।

আমরাও তো নিশ্বাসের সাথে বাতাস থেকে অক্সিজেনই গ্রহণ করি। তাই অক্সিজেন মানেই জীবন একথা বললেও বেশি বলা হয় না। যিনি প্রথম এই অতি প্রয়োজনীয় গ্যাসীয় পদার্থটি আবিষ্কার করেন তিনি হলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী যোশেফ প্রিস্টলি জন্ম তার ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে ১৩ই মার্চ। ইংল্যান্ডের লিডস শহরের উপকণ্ঠে এক গরিব তাতির ঘরে। এরপর আরো অনেক দুঃখজনক ঘটনা ছিল প্রিস্টলির জীবনের শুরুতেই।

তার যখন মাত্র তিন বছর বয়স, তখন হয় মায়ের মৃত্যু। আর সাত বছর বয়সে মারা যান পিতা। তাই বলতে গেলে একেবারে জন্ম অনাথ ছিলেন প্রিস্টলি। এ অনাথ শিশুর দেখাশোনার ভার পড়ে পিসিমার উপর। তিনি ছিলেন আরো গরিব। তবু ভাইয়ের ছেলেকে ভাসিয়ে দিতে পারলেন না তিনি। কাছে নিয়ে আসেন।

বাবা মা হারিয়ে প্রিস্টলি পিসিমার আশ্রয় আসেন ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে। পিসিমার মন্ত্রী ছিল ভালো। ভাইয়ের ছেলেকে অনাদর করেননি। লেখাপড়া শেখার জন্য পাঠালেন স্থানীয় ননফরমিটি একাডেমিতে। পিসিমার ইচ্ছে যোশেফ বড় হয়ে ধর্মযাজক হবে। ধর্ম যাজকদের সামাজিক মর্যাদা আছে। যোশেফ যাতে বড় হয়ে দশজনের একজন হতে পারে পিসিমা তারই চেষ্টা করছিলেন।

বাল্যকালে প্রিস্টলি খুব ভালো ছাত্র ছিলেন। তিনি অল্প দিনের মধ্যে মাতৃভাষা ইংরেজিসহ ফরাসি, ইতালি, আরবি ও জার্মানি ভাষা শিখে ফেললেন। সেই সাথে শিখতে লাগলেন অংক শাস্ত্র। বিশেষ করে বীজগণিত ও জ্যামিতিতে তার ছিল প্রচন্ড আগ্রহ। অঙ্কশাস্ত্র বা ভাষার উপর দখল হলেও তিনি মূলত ধর্মযাজক হওয়ার জন্যই পড়াশোনা করছিলেন তাই স্নাতক ডিগ্রী পাওয়ার পরই তিনি ধর্ম যাজকের পথ গ্রহণ করেন।

পথটি বড় হলে কি হবে, বেতন তেমন ভাল ছিল না। যা বেতন পেতেন তা দিয়ে চলতো না। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি শিক্ষকতা এবং প্রাইভেট টিউশনি শুরু করেন। শিক্ষার সাথে জড়িত থাকতে থাকতেই ইংরেজি ভাষার ব্যাকরণের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তখনকার সময়ে যেসব ইংরেজি গ্রামার পড়ানো হতো তার মধ্যে ছিল অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি। তাই দেখে তিনি নিজেই লিখে ফেললেন একটি ইংরেজি ব্যাকরণ।

বইটি কিন্তু দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করল। চারিদিকে যথেষ্ট নামও হলো। এর ফলে তার একটি ভালো চাকরিও জুটে গেলো। তিনি ডিসেন্টার্স একাডেমিতে ভাষা শিক্ষকের একটি চাকরি পেয়ে গেলেন। প্রথমে তিনি এই একাডেমিতে ভাষা শিক্ষক হিসেবেই যোগদান করেছিলেন। কিন্তু পরে যোগ দিলেন রসায়ন বিভাগে। ক্রমে রসায়নশাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়তে লাগলো তার।

শুরু হলো ঘরে বসে নানা রকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা। তিনি একদিন খবর পেলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন লন্ডন বেড়াতে যাচ্ছেন। তিনি লন্ডনে এসে সাক্ষাৎ করলেন ফ্রাংকলিনের সাথে। তখনো তড়িৎবিজ্ঞানের উপর কোন ভালো বই ছিল না। বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন প্রিস্টলিকে তড়িৎবিজ্ঞানের উপর লেখার অনুরোধ জানালেন। কিন্তু বই লিখতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে গেলেন।

দেখা গেলো রেফারেন্স বই নেই। আসল কথা হলো তড়িৎবিজ্ঞানের উপর তখনো তেমন কোন মৌলিক গবেষণাও হয়নি। তাই লেখার পাশাপাশি যেসব বিষয় তিনি সমস্যার সম্মুখীন হতেন সেগুলো নিয়ে নিজেই গবেষণা শুরু করে দিলেন। এভাবেই তিনি আবিষ্কার করলেন কার্বন একটি বিদ্যুৎ সুপরিবাহী বস্তু।

প্রিস্টলির বই লেখা শেষ হলো ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে। তিনি যে বইটি লিখেছিলেন তার নাম হলো তড়িতের ইতিহাস এবং তার বর্তমান অবস্থা। বইটি কিন্তু চমৎকার নামও করলো। চারদিকে তার নাম ছড়িয়ে পড়লো। তখনো তিনি যুবকমাত্র। বয়স মাত্র ৩৪ বছর। এই বই প্রকাশিত হবার পরই তিনি পরের বছর অর্থাৎ ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে রসায়ন সোসাইটির সদস্য মনোনীত হলেন।

তখনো তার পূর্বের ধর্মযাজকে চাকরিটা বহাল ছিল। এই সময়ে তাকে চ্যাপেলে বদলি করে দেয়া হলো। নতুন কর্মস্থলে এসে তিনি বিয়ে করে সংসার পাতলেন। তিনি চ্যাপেলে এসে যেখানে বাসা নিয়েছিলেন তার পাশেই ছিল একটি মদের কারখানা। তার বাসা থেকে মদের গন্ধ পাওয়া যেতো। এই মদের গন্ধ থেকেই প্রিস্টলির মনের মধ্যে ঢুকে গেল একটি নতুন চিন্তা। তিনি আবার রসায়নশাস্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন।

শুরু হল রসায়নশাস্ত্র নিয়ে গবেষণা। সেদিন তিনি নিজের বাড়িতেই গবেষণা করছিলেন। একটি পাত্রে কিছু খড়িমাটি নিয়ে তার মধ্যে সাবধানে ঢেলে দিলেন সালফিউরিক অ্যাসিড। পাত্রটির মূলে লাগানো ছিল একটি কাঁচের নল। সালফিউরিক অ্যাসিড ঢালার সাথে সাথে তিনি লক্ষ্য করলেন, নলের মুখ দিয়ে কি এক ধরনের বায়বীয় পদার্থ বের হয়ে গেল।



এটি ছিল আসলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড। তখনকার দিনে সব গ্যাসীয় পদার্থকেই বায়ু বলা হতো। তাই প্রিস্টলিও তার পদার্থের নাম দিলেন স্থিরবায়ু। পরে প্রিস্টল তার এই স্থির বায়ু নিয়ে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে লাগলেন। তিনি এই বায়ুকে জলের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত করে আবিষ্কার করলেন সোডা ওয়াটার। যেমন কোকোকোলা, ফানটা, সেভেন আপ ইত্যাদি কিন্তু প্রিস্টলির আবিষ্কৃত সোডা ওয়াটার থেকেই তৈরি।

সোডা ওয়াটার তৈরি করার পরেই তিনি এর বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য চেষ্টা করলেন। তৈরি করলেন সোডা ওয়াটার তৈরির কারখানা। আর অমনি শুরু হলো প্রচন্ড বিক্রি। তার নাম আরো ছড়িয়ে পড়ল। এই কৃতিত্বের জন্য তাকে রয়্যাল সোসাইটি দান করলেন ‘কেপলে পদক’। প্রিস্টলির জীবনে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার অক্সিজেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট তারিখে। এটি ছিল প্রিস্টলির জীবনের একটি আকস্মিক আবিষ্কার।

সেদিনও তিনি নিজের ঘরে বসে গবেষণা করছিলেন। একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ সালফিউরিক অক্সাইড নিয়ে উত্তপ্ত করছিলেন। সহসা তিনি লক্ষ্য করলেন পাত্রটি থেকে একপ্রকার বায়বীয় পদার্থ বের হয়ে যাচ্ছে। তিনি এই বায়বীয় পদার্থটি একটি পাত্রে সংরক্ষিত করলেন। তারপর এই নবআবিষ্কৃত বায়বীয় পদার্থটি নিয়ে শুরু করলেন গবেষণা।

দেখলেন, এই বায়ুর মধ্যে কোন জ্বলন্ত মোমবাতি প্রবেশ করালে তা আরো সতেজ হয়ে ওঠে। তা দেখে তিনি দারুন খুশি হলেন। এই নবআবিস্কৃত বায়বীয় পদার্থটি একটি পাত্রে ভরে তার মধ্যে ছেড়ে দিলেন একটি ইঁদুরছানা। তারপর পাত্রের মুখ এঁটে দেয়া হলো। হিসেবমতো অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দমবন্ধ হয়ে ইঁদুরছানাটির মারা পড়ার কথা।

কিন্তু প্রিস্টলি সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন ইঁদুরছানাটি যতো শীঘ্র মারা যাবার কথা ওটা তার চেয়ে অনেক বেশি সময় বেঁচে রইলো। এ থেকে প্রিস্টলি অনুমান করলেন, তার আবিষ্কৃত বস্তুটি হয়তো বাতাসেরই একটি উপাদান, যে উপাদানটি মোমবাতি জ্বলতে সাহায্য করে, তেমনি প্রাণীদের শ্বাস-প্রশ্বাসেও সহায়তা করে। তবে মজার ব্যাপার হল প্রিস্টলি অক্সিজেন আবিষ্কার করলেও তিনি এর কোন নাম দেননি।

নাম দেন বিখ্যাত রসায়নশাস্ত্রবিদ এন্টনি ল্যাভয়সিয়ে। তিনি যখন ফ্রান্সে সফরে গিয়েছিলেন তখন ল্যাভয়সিয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ল্যাভয়সিয়ে তার আবিষ্কৃত বায়ুটি পরীক্ষা করে দেখেন এবং তার নাম দেন অক্সিজেন। অক্সিজেন ছাড়াও প্রিস্টলি আরো কয়েকটি নতুন গ্যাস আবিষ্কার করেছেন।

এগুলো হলো কার্বন মনোক্সাইড, অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট অক্সাইড, নাইট্রোজেন এবং সালফার ডাই অক্সাইড।
প্রিস্টলি শুধু বিজ্ঞানীই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ভালো লেখক। তিনি নানা বিষয়ের উপর অনেকগুলো বই লিখেছিলেন। তিনি ১৭৬৭ থেকে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লিডস এর চ্যাপেলের ধর্মযাজক ছিলেন।

এ সময় তিনি ধর্ম ও শিক্ষার উপর প্রায় ৩০ খানার মতো বই লিখেছিলেন। এরপর ১৭৭৩ থেকে ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত তিনি ছিলেন লর্ড সেলাবার্নের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দায়িত্বে। এই সময়েও তিনি প্রায় ২০টির মতো বই লিখেছিলেন। এ সময় তিনি খবর পান যে, বিজ্ঞানী ক্যাভেন্ডিস জ্বালানি বায়ু (হাইড্রোজেন) আবিষ্কার করেছেন। তখনো কিন্তু কেউ হাইড্রোজেন গ্যাস সম্পর্কে কিছু জানতো না।

এর নাম শোনার পর প্রিস্টলি নিজেও এ গ্যাসটি সম্পর্কে উৎসাহী হয়ে ওঠেন এবং এর ওপর গবেষণা শুরু করেন। শেষে ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে ঘটলো এক অঘটন। তিনি সেদিন বাড়ি ছিলেন না। বিরুদ্ধবাদীরা তার বাড়িতে হামলা চালালো। দিলো সবকিছু জ্বালিয়ে। বইপত্র সবকিছুই নষ্ট হলো। কিন্তু লন্ডনে এসেও তিনি রেহাই পেলেন না। এখানেও তার বাড়ি জ্বালিয়ে দেবার ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলো।

তখন এখানকার বন্ধুরাও তাকে এড়িয়ে চলতে লাগলেন। কে জানে প্রিস্টলির সাথে সম্পর্ক আছে জানতে পারলে যদি তাদের উপরেও চড়াও হয় বিরুদ্ধবাদীরা। শেষে অবস্থায় এমন হলো যে তিনি লন্ডনে একবারে সমাজচ্যুতের মতো হয়ে গেলেন। তখনো বাধ্য হয়ে থাকে লন্ডনও ছাড়তে হলো। তিনি পাড়ি জমালেন আমেরিকার পথে। ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় এসে উঠলেন।

প্রিস্টলির মন তখন দুঃখে ভারাক্রান্ত। দেশের লোক তাকে চিনলো না। তাকে দেশ ছাড়া করল। তারা তাকে ভুল বুঝল। স্বদেশের মাটিতে অপমানিত হলেও নিউইয়র্কে এসে কিন্তু দারুণ সমাদর পেলেন প্রিস্টলি। ধর্মীয়, বিজ্ঞানী এবং রাজনৈতিক নেতারা সবাই তাকে গ্রহণ করলেন সাদরে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিংও তাকে সাদরে গ্রহণ করলেন। তার মাধ্যমেই পরিচয় হলো টমাস জেফারসন ও জর্জ ওয়াশিংটনের সাথে।

প্রিস্টলির তখন দারুন জনপ্রিয়তা। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপক, ইউনিটারিয়াল চার্চের যাজক, সফর বক্তৃতা ইত্যাদি বড় বড় পদ গ্রহণের প্রস্তাব আসতে লাগলো তার জন্য। কিন্তু এর কোনটাই গ্রহণ করলেন না তিনি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাকি জীবনটা তিনি কাটিয়ে দেবেন শুধু বিজ্ঞান গবেষণায়। কাটাবেন একান্ত নিরিবিলিতে।

তিনি স্থাপন করবেন একটি গবেষণাগার। তিনি তার এই নিজস্ব গবেষণাগারেই আবিষ্কার কার্বন মনোক্সাইড। এই গবেষণাগারেই সত্যি সত্যি বাকি জীবন কেটে যায় প্রিস্টলির। এখানেই মৃত্যু হয় তার পুত্র এবং স্ত্রীর। স্ত্রী ও পুত্রের অকাল মৃত্যুতে তিনি নিজেও ভেঙ্গে পড়লেন ভীষণভাবে। গবেষণা বন্ধ হয়ে গেলো।

অবশেষে ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ৭০ বছর ১১ মাস বয়সে তিনিও পরলোক গমন করলেন। এমনি করে লন্ডনে বিখ্যাত বিজ্ঞানী তার জীবনের করুণ পরিণতি ঘটালেন আমেরিকার পেনসিলভেনিয়াতে এক নির্জন বাড়িতে।



যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন।

বি: দ্র: তোমার নিজের রচিত কবিতা, সাহিত্য বা যেকোনো শিক্ষামূলক লেখা পাঠিয়ে দাও এডুয়েটিক’র কাছে। এডুয়েটিক প্রকাশ করবে তোমার প্রিয় লেখাটি।

Leave a Comment