জেনে নিন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। মাতৃত্বের স্বাদ কোন নারীই না পেতে চায়? গর্ভধারণ নারীর জন্য অনেক আনন্দদায়ক একটা বিষয়। নিজের দেহের মধ্যে আরেকটি প্রাণ এর আগমন ঘটছে এটি নিঃসন্দেহে একটি নারীর ভালো লাগার মত একটা বিষয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নারীরা বুঝতে পারেন না তিনি গর্ভবতী কিনা। আমরা মূলত ১০ টি লক্ষনকে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসাবে বুঝি।
- আরো পড়ুন: কনডম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
- আরো পড়ুন: নবজাতকের ৫টি বিপদচিহ্ন ও করণীয়
- আরো পড়ুন: রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
তাহলে চলুন আর দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে-
১. পিরিয়ড বা মাসিক
পিরিয়ড বা মাসিক যদি সঠিক চক্র মেনে হয়, অর্থাৎ সাধারণত নারীদের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে ২৮ থেকে ৩০ দিন পর পর পিরিয়ড হয় ২ থেকে ৩ আগে বা পরে হওয়া স্বাভাবিক। তবে যদি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় পেরিয়ে যায় তাহলে এটি গর্ভবতী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
২. সামান্য রক্তপাত
স্বাভাবিকভাবে পিরিয়ড বা মাসিকের সময় যে পরিমাণ রক্তপাত হয় যদি তার থেকে কম রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায় এটি গর্ভধারণের একটি বিশেষ এবং অন্যতম লক্ষণ।
৩. বমি বমি ভাব
সাধারণত গর্ভধারণের ১ মাসের পূর্বে বমি বমি ভাব দেখা দেয় না। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। প্রায় সকল গর্ভবতী নারীদের বমি বমি ভাব একটি সাধারণ লক্ষণ।
৪. খাবারে অরুচি
গর্ভাবস্থায় শুরুর দিকে খাবারে অনীহা একটি সাধারণ লক্ষণ এ সময় খুব পছন্দের খাবার খেতে বিষাদের মত লাগতে পারে।
৫. মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা
গর্ভধারণের সময় রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যায়, মস্তিষ্কের কোষগুলোর শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে প্রচুর বেগ পেতে হয়। এতে মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা লক্ষণ প্রকাশিত হয়।
৬. স্তন কোমল ও স্পিত হওয়া
গর্ভধারণের পর শরীরের বিশেষ কিছু হরমোন প্রবাহের কারণে স্তনযুগল বেশ স্পর্শকাতর হয়ে উঠে। এই সময় স্তনে ব্যথা হতে পারে, স্তনের চারদিকে দাগ হতে পারে। স্তন্যর আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
৭. শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
যদি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। শরীরে টানা ১৮ থেকে ২০ দিনের বেশি স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এটি গর্ভবতী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
৮. ক্লান্তি বোধ
গর্ভ অবস্থায় যেকোনো সময় ক্লান্তি বোধ হতে পারে। এই লক্ষণটি সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে দেখা যায়। প্রোজেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির কারণে ক্লান্তিবোধ এবং ঘুমের ভাব বেশি হয়।
৯. মেজাজের পরিবর্তন
গর্ভধারণের সময় স্বাভাবিক থেকে মেজাজের অনেকটা পরিবর্তন হয়। এইসময় মন মেজাজ ঠিক থাকে না। গর্ভধারণের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ব্রেনে নিউরোট্রান্সমিটারের পরিবর্তন হয়, তাই মন মেজাজের একটা বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায়।
১০. অতিরিক্ত প্রস্রাবের চাপ
ডাক্তারি ভাষায় অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া গর্ভধারণের একটি বিশেষ এবং অন্যতম লক্ষণ। এই সময় শরীরের রক্ত প্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত রক্ত পরিশোধন এর জন্য কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ কারণে, অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়। পুরো গর্ভাবস্থায় ধরে এটি চলতে থাকে।
- আরো পড়ুন: নারীদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
- আরো পড়ুন: অনলাইনে বই পড়ার ৫ টি অ্যাপস
- আরো পড়ুন: দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়
কখন গর্ভধারণের পরীক্ষা করতে হবে:
গর্ভধারণের প্রথম ৩ মাস অত্যন্ত সতর্কতা থাকা খুবই প্রয়োজন। তাই সঠিক সময়ে গর্ভধারণের পরীক্ষা করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পরে ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি পিরিয়ড বা মাসিক না হয় তাহলে অবশ্যই গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে হবে।
সাধারণত ২ ভাবে গর্ভধারণ পরীক্ষা করা হয়:
- বাজারে পাওয়া প্রেগনেন্সি কীটের সাহায্যে।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।