আমরা অনেকেই দারুচিনির উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। তাই এডুয়েটিক এর স্বাস্থ্য বিভাগে আজকে আমরা আপনাদের দারুচিনির উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পোষ্টটি সম্পন্ন পড়ুন। মসলা হিসেবে দারুচিনির উপকার বলে শেষ করা যাবে না। এটি হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী পরিচিত এর ঔষধি গুণাবলির জন্য। আর অবাক করা বিষয় হচ্ছে মানুষ এটির ঔষধি গুণাবলি হাজার বছর পূর্বে থেকেই যেগুলো জানত তার বাস্তব প্রমাণও মিলছে আধুনিক বিজ্ঞানে।
- আরো পড়ুন: ছেলেদের বড় স্তনের সমস্যা
- আরো পড়ুন: ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
- আরো পড়ুন: হার্টের সমস্যার লক্ষণ
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দারুচিনির স্বস্থ্যকর উপকারিতা সম্পর্কে:
১. ঔষুধি গুণাবলি
প্রাচীন মিসরের ইতিহাসে দারুচিনি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর সে সময় এটি এতই বিরল ও মূল্যবান ছিল যে, রাজাদের জন্য উপযুক্ত উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হতো এটিকে। বিজ্ঞানীরা এর অনেকে ঔষধি গুণাবলি খুঁজে পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বিপাকের ওপরে দারুচিনির প্রভাব। তবে এটি ছাড়াও আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
দারুচিনি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তাই দারুচিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বহু গুণ উপকারী।
৩. অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
দারুচিনিতে অবিশ্বাস্যভাবে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে। গবেষণায় দেখা যায় যে, এই মসলা এবং এর অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলোর শক্তিশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এ কারণে এটি আমাদের শরীরকে সংক্রমণের সাথে লড়াই করতে এবং টিস্যুর ক্ষতি মেরামত করতে সহায়তা করতে অনেক কার্যকরীও বটে।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও অনেক উপকারী এই দারুচিনি। এটি মোট কোলেস্টেরল থেকে খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায় এবং ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরলকে স্থিতিশীল রাখে। এ ছাড়া প্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে যে, দারুচিনি রক্তচাপ কমাতেও অনেক উপকারী।
- আরো পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি
- আরো পড়ুন: এলার্জি দূর করার উপায়
- আরো পড়ুন: তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
৫. রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়
দারুচিনি তার রক্ত-শর্করা-হ্রাসকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। বিভিন্ন মানব গবেষণায় দেখা গেছে যে, দারুচিনির অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব আছে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ১০ থেকে ২৯৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। আর এর উপকার পেতে আপনি চায়ের সাথেও দারুচিনি খেতে পারেন।
৬. নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে উপকারী
মস্তিষ্কের কোষগুলোর গঠন বা কার্যকারিতার প্রগতিশীল ক্ষতি থেকে নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ হয়ে থাকে। আর এ ধরনের রোগের সবচেয়ে সাধারণ ২ টি প্রকার হচ্ছে আল্জ্হেইমার ও পারকিনসন। আর এ ধরনের রোগে উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে দারুচিনি। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, দারুচিনি নিউরন রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা স্বাভাবিক করে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।