জেনে নিন কনডম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। আসুন এ সম্পর্কে আজকে আমি আপনাকে খোলামেলা আলোচনা করে বিস্তারিত জানাচ্ছি। অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় রয়েছে যা আমরা সচরাচর সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে বিব্রত ও লজ্জা পেয়ে থাকি। কিন্তু এই বিষয়গুলো আসলেই সকলের জানা প্রয়োজন এবং বাস্তব ধারণা থাকা প্রয়োজনীয়।
- আরো পড়ুন: দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়
- আরো পড়ুন: যে ৮ কারণে চুল পড়ে
- আরো পড়ুন: নবজাতকের ৫টি বিপদচিহ্ন ও করণীয়
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং যৌন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করার সবথেকে ভালো কৌশল হলো কনডম ব্যবহার করা। এটি ল্যাটেক্স রাবার অথবা প্লাস্টিক (পলিইউরিন) দিয়ে তৈরি জন্মনিয়ন্ত্রক। মান যাচাইয়ের জন্য এবং কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে কিনুন। নারী ও পুরুষ এদের জন্য দুই ধরনের কনডমই রয়েছে। তবে নারীদের কনডম বাংলাদেশে পাওয়া যায় না।
পুরুষদের কনডম : মিলনের সময় কনডম পুরুষ লিঙ্গে পরা হয় যেন বীর্য সঙ্গীর যোনীতে প্রবেশ করতে না পারে। কনডমটি পরতে হবে যখন পুরুষ লিঙ্গ উত্তেজিত থাকবে এবং সঙ্গীর যোনীতে প্রবেশ করার পুর্বে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই কনডম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম গুলো:
১. কনডমের প্যাকেটটি খুব সতর্কতার সঙ্গে খুলতে হবে। সবসময় কনডম প্যাকেট এর যেকোনো এক প্রান্ত থেকে খোলা ভালো। কারণ প্যাকেটটি খুলবার সময় যদি কনডমটি ভিতর থেকে কনডম ফুটা হয়ে যায় অথবা ফেটে যাই তাহলে কনডমটি সম্পূর্ণ ব্যবহার অনউপযোগী হয়ে যেতে পারে।
২. এবার কনডমটি প্যাকেট থেকে বের করবার পর খেয়াল রাখতে হবে, কনডমটি কোন পাশ থেকে রোল হবে। আপনি রোলিং পাশটি নিশ্চিত করার জন্য একটি আঙ্গুল হালকা করে কনডমের রাবারের ভিতর প্রবেশ করে রোলিং পাশটি নিশ্চিত করতে পারেন।
৩. কনডম ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভিতরের বাতাস বের করে নিতে হবে অন্যথায় তা ফেটে গিয়ে শুক্রানু যোনিপথে প্রবেশ করতে পারে।
৪. এইবার ধীরে ধীরে হালকা ভাবে রোল করে কনডমটি আপনার গোপন অঙ্গে পরিয়ে নিন।
৫. সম্পূর্ণ উত্তেজনা না হওয়া পর্যন্ত কনডম গোপন অঙ্গে না পরাই ভালো। কারণ উত্তজনা কম থাকলে পরবর্তীতে কনডম খুলে আসতে পারে।
৬. এইবার মিলন শেষে উত্থিত অবস্থায় লিঙ্গ বের করে নিয়ে আসতে হবে না হলে অনেক সময় শুক্রানু ছড়িয়ে পরতে পারে।
৭. মিলন শেষে ব্যবহারিত কনডম এর শেষ প্রান্তে হালকা ভাবে একটি গিট বাধে দেওয়া ভালো, যার ফলে শুক্রানু বাইরে প্রবেশ করবে না।
কনডম ব্যবহার শতকরা ১০০ ভাগ জন্মনিয়ন্ত্রনের নিরাপত্তা দেয় না। এর সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ এর কাছাকাছি। নিয়ম মাফিক ব্যবহার না করলেই ব্যর্থতা দেখা দেয়। অনেক দম্পত্তির কনডমে এলার্জি থাকতে পারে তাদের কনডম ব্যবহার না করাই ভালো। দীর্ঘদিন কনডম ব্যবহার করলে অনেক সময় দম্পতিরা এক ধরনের মানসিক অতৃপ্তি এবং অশান্তিতে ভোগেন। কনডম ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রী অনেক আরাম দায়ক যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন।
- আরো পড়ুন: কাজী নজরুল ইসলাম – MCQ Questions
- আরো পড়ুন: জসিম উদ্দীন – MCQ Questions
- আরো পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – MCQ Questions
শেষ কথা
আশা করি আমাদের দেওয়া তথ্য আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি এখনো কনডম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা আপনাকে দ্রুত আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া চেষ্টা করবো।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।