খুশকি দূর করার উপায়

এডুয়েটিকের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আজ আমরা খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। খুশকি একবার মাথার ত্বকে আক্রমণ করা শুরু করলে, তা দিন দিন বাড়তেই থাকে। এক্ষেত্রে চুলকানি ও চিটচিটে হয় স্ক্যাল্পে।

খুশকি হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো মধ্যে অন্যতম কারণ হলো- ড্রাই স্কিন, সেবোরিহিক ডার্মাটাইটিই, কেমিকেলযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার, সংবেদনশীলতা ও মাথার ত্বকে খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাকের বৃদ্ধি।

যতই অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ চুলের প্রসাধনী ব্যবহার করা হোক না কেন, নাছোড়বান্দা খুশকি দূর হয় না। তবে কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় মেনে চুল ও মাথার ত্বকের যত্ন সঠিকভাবে নিলে দ্রুত খুশকি দূর হবে।খুশকি দূর করার উপায় রয়েছে অনেক। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর সহজ ৩ টি উপায় এডুয়েটিকের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বের করেছে।



তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সহজ ৩ উপায় সম্পর্কে:

নারকেল তেল: খুশকি রোধে নারকেল তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নারকেল তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ৩৪ জনের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল তেল একজিমার মতোও চর্মরোগ সারাতে পারে। এ তেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। যা খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

বেকিং সোডা: খুশকি দূর করার আরো এক উপায় হলো, বেকিং সোডার ব্যবহার। রান্নাঘরের এ উপাদানটি খুশকির নিরাময়ে সহায়তা করে। মৃত ত্বকের কোষ দূর করে এবং চুলকানি কমাতে কাজ করে এটি।

টেস্ট-টিউব পরীক্ষায় দেখা গেছে, বেকিং সোডার অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য স্ক্যাল্পে খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক ধ্বংস করে। সোরিয়াসিস আক্রান্ত ৩১ জনের উপর পরিচালিত আরেক গবেষণা অনুযায়ী, গোসলের পানিতে বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলাফল হিসেবে সোরিয়াসিস আক্রান্তরা ৩ সপ্তাহ পরে চুলকানি এবং জ্বালা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

খুশকি দূর করতে, ভেজানো চুলের সাথে সরাসরি বেকিং সোডা ব্যবহার করুন। এরপর মাথার ত্বকে ম্যাসেজ করুন। ১ থেকে ২ মিনিট অপেক্ষা করে চুরে যথারীতি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা: খুশকি দূর করার আরো এক মোক্ষম দাওয়াই হলো অ্যালোভেরা। প্রাকৃতিক এ উপাদানটি স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুল ভালো রাখতে খুবই কার্যকরী। এ উপাদানটি বিভিন্ন প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়।

অ্যালোভেরা পোড়া, সোরিয়াসিস, বিভিন্ন চর্মরোগ বা ঘা ইত্যাদির চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়। এটি খুশকি চিকিৎসাতেও কার্যকরী ফলাফল দেয়। গবেষণা অনুযায়ী, অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যসমূহ। যা খুশকি থেকে রক্ষা করে।



টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যালোভেরা বিভিন্ন প্রজাতির ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মাথার ত্বক ও চুল ক্ষতিগ্রস্থ করে এমন ছত্রাকের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে অ্যালোভেরা। টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে, অ্যালোভেরা প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

বর্তমানে নারীরা ফর্সা হওয়ার জন্য খুঁজে থাকে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম। নারীদের সেই চাহিদার কথা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *