মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

জেনে নিন মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমাদের ত্বক নানা কারণে উজ্জ্বলতা হারায়। যেমন কোনো অনুষ্ঠানের সময় আপনার যেমন ইচ্ছে খান, মোটেও ব্যায়াম করেন না বরং বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের সাথের দেদার আড্ডা মেরে সময় কাটান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়েব সিরিজ় দেখেন তার সব কিছুর প্রভাবই ত্বকের উপর পড়েছে। ফলে আপনার ত্বকের স্বাভাবিক রং হরান, তার উপর উৎসবের মৌসুমের ঘাটতি পড়ে ঘুমেও। মনে রাখবেন, ঘুম কম হলেই কিন্তু আপনার ত্বক উজ্জ্বলতা হারাতে বাধ্য। সেই সাথে বাতাসের দূষণের প্রভাব তো আছেই!



জেনে নিন ঘরোয়া উপায় ত্বক উজ্জ্বল করার পদ্ধতি সম্পর্কে:

আপনার যদি ঘরোয়া টোটকা জানা থাকে তাহলে আপনি ঘরোয়া উপায়ও আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। ঘরোয়া টোটকায় কোনো ক্ষতিকারক রায়াসনিক থাকে না।তা কোমলভাবে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। তবে এগুলো ট্রাই করার পাশাপাশি নিয়মিত আপনাকে সুষম খাবার খেতে হবে। খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলের অভাব না থাকে এমন সব খাবার। দূরে থাকুন অতিরিক্ত তেল- মশলা জাতীয় খাবার থেকে।

সেই সাথে যথেষ্ট বিশ্রামও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি চেষ্টা করুন সারাক্ষণ অ্যাকটিভ থাকার। প্রতিদিন সকালবেলা কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুণ। ব্যায়াম করার পর যদি সারাক্ষণ আপনি একটি চেয়ারে ঠায় বসে থাকেন, তাহলে কিন্তু আপনার ত্বকও মুষড়েই থাকবে। হাঁটাহাটি করতে হবে সারাদিন – অফিসেও নিজের চা বা নাস্তা নিজে আনুন, জলের বোতল ভরার জন্য সিট ছেড়ে উঠুন।

দিনের বেলায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যাঁরা অফিসে কাচের জানলার পাশে বসেন। তাঁরও দিনের আলো থাকাকালীন বেশ কয়েকবার সানস্ক্রিন লাগান। রোদের প্রভাবে যেন আপনার স্বাভাবিক জেল্লা না হারায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনারই। সেই সাথে প্রচুর পানি খেতে হবে। ত্বক আর্দ্র থাকলে চট করে বলিরেখা পড়বে না, থাকবে টানটান। ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমতে আরম্ভ করলেই তার জেল্লা হারাতে শুরু করে।

মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে যা যা ব্যবহার করবেন:

শসা: ত্বকের যেকোনো প্রদাহ কমাতে শসার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। সেই সাথে চোখের কোলের কালি তাড়াতেও শসার রস কার্যকর বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। শসার রস ব্যবহার করুন প্যাকে। তবে আপনি প্যাক ব্যবহার না করলে শসার রস সরাসরিও লাগাতে পারেন।

পাতি লেবুর রস: লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সরাসরি লেবুর রস ত্বকে লাগানো উচিৎ নয়। এর প্রভাবে ত্বক সাংঘাতিক সেনসিটিভ হয়ে পড়ে, তীব্র জ্বালাভাবও টের পেতে পারেন। তাই সরাসরি লেবুর রস না লাগিয়ে তা আপনার ফেস প্যাকের অন্যতম উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করুন। ফুল ফ্যাট দুধ, বেসন বা আটা আর লেবুর রসের প্যাক সাধারণত সব ধরনের ত্বকেই ভালো কাজ করে। তবে লেবুর রস ব্যবহার করার পর অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান। তা না হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে ক্রমশ।

দুধ বা দই আর মধু: দুধ আর দইয়ের উপস্থিত আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িতে তুলতে দারুণ কার্যকর আর মধু কাজ করে প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজ়ার হিসেবে। এই ২ টি মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন এবং মিনিট ২০ পর ধুয়ে নিন। এটি আপনি প্রতিদিন রাতে লাগাতে পারেন। মুখ ধুয়ে নিয়ে অবশ্যই ময়েশ্চরাইজ়ার লাগাতে হবে।

টমেটো: টমেটোর লাইকোপিন ত্বকে বয়সের আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে দারুণ কার্যকর। তাছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট বাড়িয়ে তোলে ত্বকের উজ্জ্বলতাও। সপ্তাহে ২- ৩ বার ফেস প্যাকে টমেটো ব্যবহার করতে পারেন। সেই সাথে খানিকটা ওটমিল মিশিয়ে নিন- ত্বক ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে উঠবে। ৩০ মিনিট পর প্যাকটা ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন। অবশ্যই তার পর সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।

চন্দন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে চন্দনের কোনো তুলনা নেই! বলা হয়, চন্দনে উপস্থিত টাইরোসিনেস মেলানিনের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে দিতে পারে। চন্দনের সাথে আমন্ড পাউডার আর দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। ত্বক একেবারে ঝলমলিয়ে উঠবে! সপ্তাহে ২- ৩ বার ব্যবহার করা যায়। তবে যাঁরা প্রথমবার চন্দন ব্যবহার করছেন, তাঁরা অবশ্যই একবার প্যাচ টেস্ট করে নিন। অনেকের আবার চন্দনে অ্যালার্জি হয়। তাঁরা চন্দন ব্যবহারের থেকে সাবধান থাকুন।



হলুদ: কাঁচা হলুদের নিয়মিত ব্যবহার আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে ও ধীরে ধীরে উজ্জ্বল করে তোলে। তার আপনার ফেস প্যাকে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!

অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা পাতা চিরে মাঝের থেকে শাঁসটা বের করে নিন। তার মধ্যে হলুদ আর লেবুর রস দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। একদিন অন্তর অন্তর ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাক। ৩০ মিনিট রেখে মুখ থেকে তুলে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *