আজকে আমরা এডুয়েটিকের নারী স্বাস্থ্য বিভাগে আলোচনা করবো ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন ? তা নিয়ে। তাহলে চলুন আর দেরি না আজকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। গর্ভাবস্থা একেবারেই স্বাভাবিক একটি বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই একজন নারী গর্ভধারণ করে থাকেন। তবে এর মধ্যে আমরা না চাইলেও কিছু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়ে যায়।
কোনো জটিল অবস্থা যদি গর্ভাবস্থায় থাকে। সে অবস্থার জন্য যে শিশুটি আসবে তার উপর যদি কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে (যেমন—বাচ্চাটা মারা যেতে পারে অথবা মৃত বাচ্চা জন্ম দিতে পারে অথবা যে শিশুটি আসবে, তার যেকোনো ধরনের অসুবিধা হতে পারে) সেটিই হলো ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা।
গর্ভাবস্থার সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অবস্ এন্ড গাইনী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত আফরীন নীলা।
- আরো পড়ুন: মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম (দাম সহ)
- আরো পড়ুন: যমজ সন্তান কেন হয়, কাদের হয়
- আরো পড়ুন: শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে যেসব খাবার ও পুষ্টি প্রয়োজন
ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কীভাবে বুঝবেন ?
প্রশ্ন: ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী কাদের বলা হয় ?
ডা. নুসরাত আফরীন নীলা: কোনো গর্ভবতী নারীর গর্ভধারণ করার পূর্বে কোনো ধরনের মেডিকেল ডিসঅর্ডার যদি থাকে বা গর্ভধারণ করার পরে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে কোনো গর্ভপাত হয় বা গর্ভের সন্তান মৃত্যু বরণ করলে বা ২৮ সপ্তাহের পরে গর্ভের সন্তান মৃত্যুবরণ করে বা জন্মগত ক্রটিসহ কোনো সন্তান প্রসবের করণে বা গর্ভধারণ অবস্থায় কোনো মেডিকেল ডিসঅর্ডার নির্ণয় হলে তাকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী বলে।
প্রশ্ন: মেডিকেল ডিসঅর্ডার কি ?
ডা. নুসরাত আফরীন নীলা: কোনো মায়ের যদি গর্ভবতী হওয়ার পূবেই প্রেগনেন্সি উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড ডিসঅর্ডার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, ইত্যাদি এই ধরনের অসুস্থতা থেকে থাকে বা গর্ভধারনের ২৮ সপ্তাহের মধ্যে কোন সন্তান যদি গর্ভে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে অথবা গর্ভপাত হয়। বা গর্ভধারনের ২৮ সপ্তাহের পরে যদি গর্ভে থাকা অবস্থায় মারা যায় বা জন্মগত ক্রটি নিয়ে কোনো সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে। অথবা পূর্ববর্তী গর্ভবতী থাকা অবস্থায় গর্ভবর্তী সহায়ক অসুস্থতা হয়েছিলো কিনা যেমন প্রেগনেন্সি ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস প্লাসেন্টা প্রিভিয়া ইত্যাদি হয়ে থাকলে এমন অবস্থাকে মেডিকেল ডিসঅর্ডার বলে।
প্রশ্ন: ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী বলছেন যাকে, আপনাদের ভাষায় High-Risk Pregnancy দুরীকরণে আপনার পরামর্শ কি ?
ডা. নুসরাত আফরীন নীলা: সাধারণত সর্বনিম্ন antenatal নয় মাসে ৪ বার চেকআপ করলেও হয়। কিন্তু High-Risk Pregnancy তে antenatal চেকআপ মাসে একাধিকবারও হতে পারে।
প্রশ্ন: জন্মগত ক্রটি বা Congenital anomalies কখন নির্ণয় করা য়ায় ?
ডা. নুসরাত আফরীন নীলা: ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে শিশুর জন্মগত কোনো ক্রটি (যেমন ডাউন সিন্ড্রোম ইত্যাদি) থাকলে তা genetic Ultrasonogram এর মাধ্যমে ধরা পড়ে।
প্রশ্ন: এধরনের রোগীরা কখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন ?
ডা.নুসরাত আফরীন নীলা: সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে অন্তত ৩ মাস আগে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রশ্ন: আমরা জানি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিটো-ম্যাটারনাল উইং আছে। এমন নাম করণের কারণ কী? আর এটি কী ধরণের সেবা দিয়ে থাকে ?
ডা.নুসরাত আফরীন নীলা: অসংক্রামক ব্যাধিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী নারীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ফিটো-ম্যাটারনাল মেডিসিন উইং চালু করা হয়েছে। আমরা প্রথমে Screening করে রোগীর মেডিকেল ডিসঅর্ডার আছে কি না খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। তারপর রোগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট রোগের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের মতামত নিতে বলি এবং রোগীকে Folic acid খাওয়াতে শুরু করি।
প্রশ্ন: Folic acid খাওয়ালে কি হয় ?
ডা. নুসরাত আফরীন নীলা: জন্মগত ক্রটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করার হার অনেকাংশে কমে যায়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। বিভিন্ন শ্রেনির সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন। নতুন নতুন সব শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক ভিডিও পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং বেল আইকনে ক্লিক করুন।